জটাধারী বৃদ্ধা , বয়স আশির মতো । তিনি মঈনের হাত দেখে ভাগ্য গননার চেস্টা করছেন। বয়স বেশি হওয়ার কারনে তিনি আজকাল চোখে ভালো দেখেন না । কিন্তু মঈনের হাত দেখে তার চোখ বড় হয়ে গেল। হাতটা ছেড়ে দিয়ে বৃদ্ধা বললেন, যা বাছা, চলে যা।
মঈন বলল, কেন জ্যোতিষী মা?
” আজ আমার মন ভালো নেই”
” আপনি যদি খারাপ কিছু দেখে থাকেন আমাকে বলেন। আমি ভয় পাব না ”
” তুই অন্য দিন আসিস”
” না , আজকেই বলতে হবে ”
” জিদ করিস না বাছা, চলে যা ”
” না শুনে আমি যাবই না ”
” আমি বলতে পারবনা ”
“আপনাকে বলতেই হবে কি আছে আমার ভাগ্যে ”
বৃদ্ধা কথা বললেন না। চোখ দিয়ে আজকার পানি পড়ে। হাত দিয়ে পানি মুছে বললেন, চোখে কম দেখি বাছা, গণনায় ভুল হয়ে যায়।
মঈন বলল , বেশ আরেকবার দেখেন ”
বৃদ্ধা মঈনের হাত নিজের হাতে নিলেন। ম্যাগনিফাইং গ্লাস রাখলেন হাতের ওপর। রেখাগুলো এখন স্পস্ট । শনি লেগেছে কপালে । রাহুর প্রভাব বেশি। কিভাবে এমন হলো তিনি বুঝতে পারছেন না। মনে হচ্ছে কেউ যেন ইচ্ছে করে ভাগ্য রেখা বদলে দিয়েছে। তার হাত এখন কাপছে। চোখ থেকে এক ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল মঈনের হাতে। তিনি অচেনা যুবকের জন্য এক ধরনের ভালোবাসা অনুভব করছেন।
মঈন বলল, কি ব্যাপার জ্যোতিষী মা আপনার চোখে পানি কেন?
বৃদ্ধা বলল, তুই চলে যা বাছা । আমি তোর ভাগ্য বলতে পারব না।
” কেন মা? আমার ভাগ্য কি খুব খারাপ? ”
“হ্যা ”
“তবুও বলেন?”
“শুনে কি হবে?”
” সাবধান হব। আমি ভাগ্যাকে বদলাতে চেস্টা করব ”
” ভাগ্য কে কেউ বদলাতে পারে না । যা লেখা আছে তাই ঘটবে। একমিনিট আগেও না এক মিনিট পরেও না ”
“আপনি বলেন , আমি প্রমান করে দেব ভাগ্য বদলানো যায়”
জ্যোতিষী মা করুনার হাসি হেসে বললেন , আজ থেকে এক মাসের মধ্যে তুই অন্ধ হয়ে যাবি।
চলবে…