দগদগে জমাট বাঁধা কালো খুনের দেয়াল ঘড়ি
রক্ত ক্ষরণে হৃদপিণ্ড দলা দলা দীর্ঘশ্বাস,
থেঁতলে যাওয়া মগজের ছিন্নভিন্ন শরীর। ঝুল বারান্দায়
একটি কাকের ঐতিহাসিক চিৎকার।
রাজা আসে রাজা যায় অতঃপর রাজা ধ্যানী যোগী হয়
রাজার কোনো ইতিহাস,ভূগোল,রাষ্ট্র বিজ্ঞান থাকেনা।
প্রচন্ড শব্দ, ঘোর দৌড় খট্ খট্ খট্ খট্ শপাং শপাং চাবুকের গর্জন,
মন্ত্রের উচ্চারণের বেসামাল গতিবেগ আর্তনাদ করে, ছিন্ন করো,
ছিন্ন করো আমার যত বৈষম্য-বৈভব, দলিতমথিত করো, দীর্ণ করো বেদনার নীল তাণ্ডবে।
তীব্র দহনে,ঘৃণায় বিবস ক্ষত-বিক্ষত সময়ের পাটিগণিত
বে- আব্রু লাশের শরীর, কপট কৌতুকে ডাক দেয় রুদ্র,
রুদ্র,হে রুদ্র সময় ফুরিয়ে এসেছে…
স্বপ্ন!আহা স্বপ্ন! অন্ধ- বোবা স্বপ্ন, নির্মম পরিহাসের উন্মাদনা।
শীর্ণ শরীর, চোখ উপড়ানো বিভৎসতা,ঝটবাঁধা চুল,
ছেঁড়া কাপড়ের ভিতরে উঁকি মারে মরুভূমির পথ
কোনো ব্রত নেই, নেই কোনো দীক্ষা।
তুমুল গর্জনে কে একজন বলে থামুন,থামুন,থামুন–
থাম বলছি থাম, বন্ধ করো তোমার নপুংসক লাম্পট্য
একগুণ,দশগুণ, সহস্র কোটি গুণ ফিরিয়ে দেবো চাবুক
ধ্বংস হোক চেতনার গৃহস্থালী,ধ্বংস হোক স্বাপ্নিক,
জাগতিক যজ্ঞ ভূমি।
কারো কোনো প্রশ্ন নেই,নেই কোনো স্বীকারোক্তি।
বড্ড ক্লান্তহীন দু’চোখ,অনিবার্য পতন,আগুন—আগুন
বেসামাল আগুন বৃষ্টি।
নিছক গুণকীর্তন লালসার মেল বন্ধনে অস্তিত্বহীন
কাঁটা-ছেঁড়া, স্বার্থের কড়ি,কড়ি খেলা।
মাহবুবা আখতার
২৮.০২.২০২২খ্রি
ঠাকুরগাঁও।