সবাই বলে আমি নারী
নাই কোন ঘর বাড়ি
বাবার আদরে মানুষ হয়ে
চলে যেতে হয় শ্বশুর বাড়ি।
কৃপা করে এনেছো বলে
নারী কে দাও অপবাদ
এক ছাদের নীচে থেকে বলো
বাড়ি তোমার কোথায় হলো।
যে যা বলে যায় অবলীলায়
নারী বলে সে কথা শুনে যাই
করি না কখনো প্রতিবাদ
মুখ বুজে সব কিছু করি তাই।
বাড়ি বাড়ি করে কাঁদি না কখনো
জন্মের পর অবলা জেনেছি সঙ্গত
সেই দিনের অপেক্ষায় আছি এখনো
ভুল ভাঙ্গবে একদিন তাদের
প্রতিজ্ঞা করে বড় হচ্ছি প্রতিনিয়ত।
কিসের ঘর কিসের বাড়ি
জন্মে থাকে শুন্যের হাঁড়ি
ভবলীলা পার করিবে যখন
কিছুই আর রহিবে না তখন।
ভুলের মধ্যেই বাস যাদের
অহংকারের ভার বেশি তাদের
সদাগতিশীল মূর্খ যারা
চোখ থাকিতে দেখে না তারা
আপন করে বেঁধে নেই
কাঁদে পাশে যখন কেউ
আঁচলে তারে বেঁধে নিয়ে
ভালবাসার স্বাদ তাকে দেই।
মাফ করে দেই আমরা তাদের
ঘৃনার চোখে দেখে যে নারীদের
স্রস্টার চেয়ে বড় কেউ নেই
পোষেন যারা এই মনোভাব
তাদের বলি একটু থামেন
যোগ্যতার মাফকাঠিতে
নারীদের দেখেন।
কাজ আমরা সবই পারি
যেথায় যে কাজ থাকে
মুখ উঁচিয়ে বলিনা বলে
দাবিয়ে রাখ সকল কাজে।
রুখবে নারী সমাজ কে যেদিন
লেজ গুটিয়ে পালাবে সেদিন
মমতার মাঝে নারীকে দেখ
আমার ঘর আমার বাড়ি
অতীতের সংলাপ দাও ছাড়ি
নারীকে দাও পূর্ণ মর্যাদা
শান্তি তে থাক তোমরা সর্বদা।
বাড়ি নেই বলে নারী দুর্বল
যারা বলে তারা কি সবল
সাড়ে তিন হাত জায়গা ছাড়া
কেউ কি নিতে পারে
আর এক কদম।
সদা ভয় নারী কে নিয়ে
বৃদ্ধ বয়সে ছেলে দেবে তাড়িয়ে
নারী যদি বাড়ি ছাড়া হয়
পিতার কি নাই তাতে সংশয়।
অবজ্ঞার চোখে না দেখে
নারী কে দেখ মাতৃ রূপে
ঘরে তোলে নাও যারে
সম্মান চোখে দেখ তারে।
পরান পাখি উড়ে যাবে যখন
কিছুই আর রইবে না তখন
নিজের বাড়ি নিজের ঘর
কেউ রবে না আপন পর।
অনায়াসে যারে নীচে ফেল
রক্ত চক্ষুতে চুবিয়ে মারো
সেই নারী নীরবে কয়
বিশ্ব একদিন করবে জয়।
দিন থাকিতে হাঁটো তবে
বাড়ি বাড়ি কিছু আর না রবে
মনের তুস্টিতে সবাই চলো
নারী কে তোমার যোগ্য ভাবো।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সকল নারীদের প্রতি রইল আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
স্মরণিকা চৌধুরী
৮/৩/২২