আমার একটা সুন্দর নোট প্যাড আছে
আমি তাতে লিখি বা না লিখি সঙ্গী করে ই রাখি
কখন যে দরকার পরে
মাঝে মাঝে ভালো লাগা কিছু মুহূর্ত টুকে রাখি
প্রকৃতির কাছে যখন যাই,ফুল লতা পাতা ঘাস
আকাশ,,নদী,সমুদ্র অরণ্য তখন আমি নোট প্যাড এ লিখি,
কি আশ্চর্য ,তখন নোট প্যাড আর নোট প্যাড থাকে না
একটা গভীর সমুদ্র হয়ে যায়, একটা শান্ত নদী হয়ে যায়
একটা ঘন জলপাই রং সবুজ অরণ্য হয়ে যায়
মেঘ গুলো হয়ে যায় অচ্ছুৎ,
অথচ অচ্ছুৎ, মেয়েটি হরিজন তাকে তার অন্য জাতের প্রেমিক
তার চোঁখে র জল স্পর্শ করতে গিয়েও
স্পর্শ করে না
কি আশ্চর্য সেই মেয়েটির চোঁখের জল মিশে যায় বৃষ্টি র জলে
আর সে জলে ভিজেঁ তার প্রেমিক আনন্দে, সে জানেই না
অচ্ছুৎ চোঁখের জল গড়িয়েছে বৃষ্টি র জলে
আর আমার নোট প্যাড এর অক্ষর গুলো হয়ে যায়
সাদা সাদা কতগুলো হাঁস, কতগুলো সাদা সাদা বক,
কতগুলো মাছ, কতগুলো সবুজ শ্যাওলা,
আর জলপাই রং সবুজ গারো পাহাড়ে জুম চাষ হয়
আমিও আদিবাসী সমাজে মিশে যাই
রবি দাস বন্ধুদের সাথে গোল্লাছুট খেলি
বার তীর্থ যে মেলা বসে , আমি হারিয়ে যাই আমার শৈশবে
একটা নীল প্রজাপতি লজ্জাবতী গাছে বসে ঝিমোয়
তাকে স্পর্শ করতে গেলে সে উধাও হয়ে যায়
বেবুন বৃক্ষের ডালে বসে থাকে পরিযায়ী পাখিরা
আমিও পাখি হয়ে মিশে যাই , “পাখি সব করে রব রাতি পোহালো” অবিরাম গান গাই।
আর আমার নোট প্যাড টা অদ্ভুত রকম জড়িয়ে থাকে
পাতা উল্টে দেখি কত পৃষ্ঠা কবিতা লিখেছি,
আসলে পুরো প্রকৃতি ই কবিতা হয়ে যায়
কিশোরী মেয়েটির ট্যাবু ভাঙে,
সে মেডিকেল দোকানে খোঁজে,
তার প্রয়োজনীয় প্যাড তার প্রথম নারী হওয়ার
কিশোরীর চোঁখের ঝিলিক আমার কবিতা হয়ে যায় নোট প্যাড এ।
শাহানা জেসমিন