মাত্র দিন পনের হলো এই পাড়ায় নিজেদের করা বাড়িতে এসে উঠেছি। এখনো পুরো গোছগাছ হয় নি সব, আরও কয়েক দিন হয়তে লেগে যাবে। এই এলাকাটা খুব সুন্দর গুছানো, কোন হৈ হট্টগোল নেই তাই বাসাটা ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। তাছাড়া আশেপাশের বাড়ির থেকে সব ভাবিরা দলবেঁধে আসছেন আমার জন্য এটা ওটা নিয়ে। খুব ভালো লাগছে ব্যাপারটা আমার কাছে।

ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি আসেপাশে নতুন কোন মানুষ বা ভাড়াটিয়া আসলে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় নতুন মানুষ আমাদের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নেই।

আমার শাশুড়ীও খুব মিশুক মানুষ সবার সাথে খুব খুশ গল্পে মেতে আছেন তবে আমি একটু ঘরকুনো স্বভাবের সবার সাথে খুব সহজে মিশতে পারি না আর মিশে গেলে আমাকে আটকে রাখা দায়।

গতকাল সন্ধ্যায় বাসায় এসেছিলেন আমাদের কয়েকজন প্রতিবেশিনী তাদের মধ্যে রিমা ভাবি নামের মানুষটাকে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে, কেন যেন উনাকে দেখেই মনে হয়েছে এই মহিলার সাথে আমার জমবে জবর।

এই কথা ঐ কথার ফাঁকে রিমা ভাবি আমাকে আলাদা করে একটা কথা বললেন তাতে আমি তার উপর কিছুটা রাগান্বিত হয়েছি বলা চলে।

ভাবি বললেন,
— নুরজাহান চাচির থেকে একটু দূরত্ব রেখে চলো, এই মহিলা বিষাক্ত উনার ছেলের বউও তাই!

আমি তো অবাক এ কি কথা বলে উনি? মানুষ আবার বিষাক্ত হয় কিভাবে?

যাক সেকথা এবার নুরজাহান খালার কথায় আসি, উনার বাসা আমাদের বাসার ঠিক অপজিটে। আমরা বাসায় আসার পর প্রথমেই আমাদের সাথে দেখা করতে আসেন নুরজাহান খালা, এসেই আমার শাশুড়ীকে বলেন উনার চেহারা তার মৃত বোনের মতো আর তাই তিনি তাকে বোন বানিয়ে নেন।

এরপর থেকে রোজ দুই তিনবার এটা ওটা চাইতে বা এমনিতেই নুরজাহান খালার আমাদের বাসায় আসা চাই ই চাই। তিনি আসলেই আমার শাশুড়ী আমাকে ডাক দিয়ে বলেন,
— বৌমা আমাদের জন্য চা নাসতা কিছু নিয়ে আসো।

অগত্যা আমাকে তার কথা শুনতেই হয় আর এ কারণে আমি যথেষ্ট বিরক্ত ও।
সারাঘর এলোমেলো আমাকে এমনিতেই একা সব কিছু করতে হয় এর মধ্যে কিছুক্ষন পর পর এমন উপদ্রপ কার ভালো লাগে? তাছাড়া ঐ মহিলা কুটনি টাইপের আর ঝগড়ুটে। সারাক্ষণ এর ওর কথা বলে আমার আর আমার শাশুড়ীর কান ভারি করতে থাকেন।

আমার শাশুড়ী কারো গীবত শুনতে পারেন না আর এলাকায় নতুন বলে তাকে কিছু বলতেও পারেন না। আসলে ঐ মহিলা হাবভাবে বুঝাতে চান এখানকার একমাত্র ভালো মহিলা তিনি আর তার পুত্রবধু।

রিমা ভাবিরা যাওয়ার পরই আসলেন নূরজাহান খালা এসেই আমাকে ধমকের সুরে বললেন ঐ সব টাংকিবাজ সাজুনি মেয়েদের সাথে বেশি মিশবা না মিশতে হয় আমার বৌমা পুতুলের সাথে মিশবা ঠিক আছে?

আমার শাশুড়ী ও দেখলাম তাকে সায় দিচ্ছেন, বুঝতে পারলাম এই মহিলা ভালোই আমার শাশুড়ীকে হাত করে নিয়েছে।

যথারীতি আমি চা আনতে চলে গেলাম,আমি চা নিয়ে এসে রুমে ঢুকতেই তাদেরকে কিছুটা অপ্রস্তুত হতে দেখলাম, আমাকে দেখেই উনারা কথা বন্ধ করে দিলেন বুঝতে পারছি উনাদের আজকের টপিক হচ্ছি আমি। আমি আর সেখানে না দাড়িয়ে চা দিয়ে ড্রইং রুমের সোফায় বসলাম ফোন হাতে নিয়ে কিন্তু কান খাঁড়া করে রাখলাম শাশুড়ী মায়ের রুমের দিকে। আমি পরিষ্কার শুনতে পারলাম খালা আমার সাথে তার পুত্রবধুর তুলনা করছেন। আমার শাশুড়ী উনার কথায় দ্বিমত করলেই উনাকে নানান যুক্তি দেখাচ্ছেন। উনি নাকি আমাকে ছাদের উপর ফোনে কথা বলতে দেখেছেন। আমি হেসে হেসে নাকি বেলকনি থেকে রাস্তায় কার সাথে কথা বলেছি। আমি শাশুড়ীকে সম্মান করি না সেবা যত্ন করি না উনি যখন ই আসেন আমাকে মোবাইল হাতে দেখেন এই সব হাবিজাবি।

খালা চলে যাওয়ার পর শাশুড়ী মা আমাকে ঢেকে বললেন — দেখছিস কি করছে ঐ কুটনি?
— হ্যা মা দেখছি,
আমি মুচকি হেসে বললাম।
— কি করি বলতো?
— তুমি ওকে নিয়ে ভেবো না আমি সামলে নেবো।

আমার এই কথা শুনেই শাশুড়ী মা মুচকি হেসে আমার উপর আস্থা প্রকাশ করলেন।

আজ সকালেই মা’কে একটা জরুরি কাজে আমার নানা শ্বশুরের বাড়িতে যেতে হলো। যাওয়ার আগে আমাকে পই পই বলে গেলেন, আমি একা বাসায় ঐ মহিলা আসলে তাকে একটু খাতির যত্ন করে বসিয়ে রাখি। সেই সাথে বলে গেলেন, আমি যেন কোন দুষ্ট বুদ্ধির প্রয়োগ না করি ঐ মহিলার উপর।

আমিও মাথা নেড়ে সায় দিলাম।

মা গেট থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠা পযন্ত আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম বারান্দায়। তাকে হাত নেড়ে বিদায় জানিয়ে ঘরে ঢুকতে যাবো তখনই দেখি খালা চোখ বড়ো বড়ো করে তার বাসা থেকে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি তাকে না দেখার ভান করে ঘরে চলে এলাম। টুকটাক কাজ গুছিয়ে এককাপ চা করে নিয়ে বসলাম বেলকনিতে এমন সময় কলিং বেলের শব্দে দরজা খুলে দেখি সামনে দাঁড়িয়ে আছেন নুরজাহান খালা।

আমি হাসি মুখে তাকে ঘরে আসতে বললাম কিন্তু তিনি কর্কশ গলায় আমার শাশুড়ীকে ডাক দিলেন আমি ও নরম গলায় বললাম,
— মা বাসায় নেই, একথা শুনে ই উনি বিশ্রি অঙ্গ ভঙ্গিতে বললেন,
— ও তাই তো বলি, এতো সাহস তোমার হয় কোথা থেকে, শোন মেয়ে এটা ভদ্র লোকের এলাকা এখানে এসব বেহায়াপনা চলবে না হুম!

বলেই উনি চলে গেলেন।

আমি একা একা অনেকক্ষণ হাসলাম, এই মহিলা কি যে বলে, তার ছেলের বউ পুতুল যে এই এলাকার সবার ভাবি,আর ছোট থেকে বড়ো সব ছেলেদের সাথে ই যে উনার পুত্র বধুর দেবর ভাবির মধুর সম্পর্ক তাকি ঐ মহিলা দেখে না?
মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আমার।

দুপুরের গোসল সেরে চুল শুকানোর টাওয়েলটা বেলকনিতে দিতে যাবো তখনই দেখলাম খালার অতি আদরের পুত্রবধু পুতুল তার বাচ্চাটাকে নিয়ে তাদের বাসার সামনের রাস্তায় হাঁটাহাটি করছে,তাকে দেখেই আমার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি খেলে গেলো। আমি তাকে হাত ইশারায় ডাক দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম ওর জন্য।

ও আসতেই আমি ওকে আমার ডাইনিং এর চেয়ারে বসতে বলে রান্না ঘরে ভিজিয়ে রাখা শিমের বিচি এনে দিয়ে কর্কশ গলায় বললাম,
— নে এগুলো একটু খোসা ছাড়িয়ে দেতো।

পুতুল তখন আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো!

আমি আবারও বললাম,
— কিরে কথা কানে যায় না? তাড়াতাড়ি কর। তোর ভাইয়া শিমের বিচি খুব পছন্দ করে। তাড়াতাড়ি হাত চালা।

ও তখন নির্বিকার ভাবে আমার আদেশ পালন করতে শুরু করলো।

আমি ফোনটা হাতে নিয়ে ফুল স্পিডে ফ্যান ছাড়িয়ে চুল খুলে ওর সামনে বসে গুন গুন করে গান গাইতে শুরু করলাম। কিছু সময় পর আবারও গলা চড়িয়ে ওকে বললাম
— কিরে এদিক ওদিক কি দেখিস?
— না মানে ভাবি, আপনি আমার সাথে এভাবে কথা বলছেন কেন?
— কিভাবে কথা বলবো তর সাথে? যা রান্না ঘরে গিয়ে আমার জন্য কড়া করে এককাপ চা করে আন।

খেয়াল করলাম ও বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি আবারও বললাম,
— তুই বড় মাগুর মাছ কুটতে পারিস?
— না ভাবি আমি মাছ কুটতে পারি না, বাসায় আমাদের বুয়া নয়তো মা মাছ কুটতে পারে আমি বাসায় গিয়ে মাকে পাঠাই?
— কি? তুই আগে আমার শিমের বিচি খোসা ছাড়িয়ে দিবি তারপর যাবি বাসায়, বুঝেছিস?
— ভাবি আমার নখে ব্যাথা করছে তো?

আমি ঝপ করে টেবিলে রাখা ফল কাটার ছুরি টা হাতে নিয়ে বললাম,
— দেখি তো কোন নখে ব্যাথা করছে? আমি কেটে দেই আঙুল সহ।

এবার প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলো সে।
থতমত খেয়ে বললো,
— না ভাবি এখন আর ব্যাথা করছে না।
— হুম, চুপচাপ কাজ শেষ কর, রান্না হলে বাটিতে করে কিছু নিয়ে যাবি বাসায় ঠিক আছে? তুই জানিস না, কেউ আমার মুখের উপর কিছু বললে আমার মাথা ঠিক থাকে না, খুব রাগ উঠে যায় আমার। এই তো গতমাসেই আমাদের পাশের ফ্লাটের সীমা ভাবির হাতে একটা পোঁচ দিয়েছিলাম এই ছুরি দিয়ে, তারপর শুধু রক্ত আর রক্ত আার কিছুই মনে নেই আমার।

ছুরিটা হাতে নিয়ে এপাশ ওপাশ দেখতে দেখতে বললাম।

ভয়ে ভয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ঝটপট সে শিমের বিচির খোসা ছাড়াতে লাগলো।

আমি সব খেয়াল করতে লাগলাম আর মনে মনে হাসতে লাগলাম। কখন যে ওর কান্ড দেখে সশব্দে হেসে উঠেছি খেয়াল নেই। ও যখন চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ালো তখন খেয়াল করলাম বিচি গুলো সুন্দর করে বেছে রেখেছে সে।
ওকে আবারও ধমক দিয়ে বললাম,
— বাসায় গিয়ে এক্ষুনি তোর শ্বাশুড়িকে পাঠিয়ে দে, তাড়াতাড়ি যা?

স্কুল ছুটি হলে বাচ্চারা যেমন ছুটে যায় ক্লাস রুম থেকে তেমনি সেও এক ছুটে বেরিয়ে গেলো আমাদের ঘর থেকে। আমি হাসি চাপতে না পেরে লুটিয়ে পড়লাম আবারও চেয়ারে। অপেক্ষা করতে লাগলাম নুরজাহান খালার জন্য।
মিনিট কয়েকের মধ্যে রাগে গজগজ করতে করতে সশব্দে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢুকলেন নুরজাহান খালা। উনি ঘরে ঢুকতেই আমি দরজাটা লাগিয়ে দিলাম হাসতে হাসতে।

আমার হাসি আর হাতে ছুরি দেখে রীতিমতো চমকে গেলেন খালা, তারপর ও নিজেকে সামলে আমাকে বললেন,
— তোমার সাহস তো কম না? আমার ঘরের বউকে দিয়ে কাজ করাও? দেখাচ্ছি মজা আজ আসুক তোমার শাশুড়ী।
— কি দেখাবেন খালা? আমি তো এমন-ই। তা এসেছেন যখন এবার আপনি ও আমাকে একটু সাহায্য করে দিয়ে যান। রান্না ঘরে গিয়ে দেখুন বেশ বড়ো একটা মাগুর মাছ পড়ে আছে ওটা কেটে দিয়ে যান। আমি ছুরি দুলাতে দুলাতে বললাম খালাকে।

— কি তোর এতো বড়ো সাহস আমাকে হুকুম করিস?
— হ্যা খালা আমি সবাইকে হুকুম করি, আর আমার কথা না শুনলে কি করি তাও জেনে নেবেন আপনার বোনের থেকে।
মুখে পাগলামির হাসি দিয়ে বললাম। এবার বেশ ভয় পেয়ে গেলেন খালা।

— কি করবি তুই?
— কি করবো বলতে পারছি না তবে সীমা ভাবি, রুনা খালা, মণি আপদের মতো অবস্থা তো হবেই। জানেন খালা, গতবার সীমা ভাবির হাত কাটার পর আমাকে না আপনার বোন আর বোন পো পুরো একমাস পাগলা গারদে রেখেছিলো। অবশ্য এখন আর খারাপ লাগে না পাগলা গারদে বরং ভালোই লাগে কিছু দিন পর পর সেখানে না গেলেই বরং আমার খারাপ লাগে।

আমার কথা শুনে খালা চুপচাপ ঢুকে পড়েন রান্না ঘরে।

আমি মাছ কাটার বড়ো দা টা হাতে নিয়ে এলোমেলো পায়ে এগিয়ে গেলাম খালার দিকে।

খালা আমার হাত থেকে দা টা নিয়ে বসে পড়লেন মেঝেতে।

আমিও রান্না ঘরের টুলটা টেনে নিয়ে বসলাম খালার সামনে। বললাম,
— জানেন খালা, আপনাকে আমার খুব ভালো লাগে, আপনি সব সময় আমাদের বাসায় আসেন একারণে আমার আরও বেশি ভালো লাগে। আপনি রোজ আসবেন আমাদের বাসায়। আপনার যখন যা প্রয়োজন এখান থেকে নিয়ে যাবেন।

খালা মাছ কুটতে কুটতে আমার দিকে তাকালেন ভয়ে ভয়ে।

— খাআআআলা জানেন, আমার না মাছের মাথাটা কাটতে দেখলেই কি ইচ্ছে হয়?
খালা ভয়ে ভয়ে বললেন,
–ক-ক-কি??
— আমার ইচ্ছে হয় আমিও এমনি করে কিছু কাটি?

আমি হাত দিয়ে নিজের মাথা কাঁটার ইঙ্গিত করলাম আবারও পাগলামি হাসি দিয়ে বললাম খালাকে।

ততক্ষণে খালার মাছ কাটা শেষ।

খালা আপনি আজ আমাদের বাসায় খেয়ে যাবেন আর পুতুলের জন্য একটু নিয়ে যাবেন প্লিজ।
আমি এক্ষুনি রান্না বসাবো।
— না, আমি খাবো না।
–বসেন না খালা আপনার সাথে কিছু গল্প করি, ওহ ঐ ভাবিদের কথা বলুন কি যেন বলছিলেন আমার শাশুড়ীকে, লোপা ভাবির কথা? আপনি তো সবার বাসায় যান, সবার খবর রাখেন।
— না বৌমা তুমি এখন রান্না কর আমি বরং যাই তোমার শাশুড়ী এলে আসবো।
— উহু না আপনি তো এখন যেতে পারবেন না, আপনাকে আমি রেহানা ফুপুর মতো আমাদের বাথরুমে দরজা লাগিয়ে রেখে দেবো, নাহ্ বাথরুমে না আপনাকে বরং আমার শাশুড়ীর বড়ো আলমারিতে বসিয়ে দেই কি বলেন, ভালো হবে না? মা এসে যখন আপনাকে উনার আলমারিতে তোলা দেখবেন তখন তিনি খুব খুশি হবেন!
— না মা আমি যাই পরে আসবো।
আমি ঝট করে খালার হাত টা ধরে বললাম,
— খাআআআলা আপনার গল্প শুনতে আমার খুব ভালো লাগে আপনাকে বরং আমার আলমারিতে তোলে রাখি আপনি সারাক্ষণ আমার সাথে গল্প করবেন, ভালো হবে না!

খালা ততক্ষণে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে মা গো বাবা গো বলে এক দৌড়ে চলে গেলেন আমাদের বাসার বাইরে, আমি পিছন থেকে চিৎকার দিয়ে বললাম খালা আসবেন কিন্তু আমার আলমারিতে আপনাকে তোলে রাখবো।

সন্ধ্যায় শাশুড়ী ফিরে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,
— কিরে আজ নুরজাহান এসেছিলো?
আমি শুধু বললাম,
— এসেছিলেন মা তবে মনে হয় না আর এমুখো হবেন।
— আবারও কি দুষ্টামি করে ছিস তুই?

আমি শুধু মুখ টিপে হাসলাম।

About

রাবিয়া হ্যাপী

{"email":"Email address invalid","url":"Website address invalid","required":"Required field missing"}