সূর্য্য আমায় ডেকে বলে
‘সবাই চন্দ্র নিয়ে লেখে,
তুমিও।
কই আমাকে নিয়ে তো কেউ
গান লিখে না, কবিতা লিখে না
এমনকি তুমিও না।
কষ্ট পাই সেটা নয়,
মনে হয় আমার কাজে কেউ খুশী নয়।
অথচ, আমি কিরণ ছড়াই, উত্তাপ দিই
আরও কতকিছু করি,
এমনকি যে চাঁদ নিয়ে তোমরা কবিতা
গান লিখতে থাকো,
তাকেও আমি ভালবাসে আলো ধার দিই।
অথচ এখানেও তার বন্দনা
আমি তো তোমাদের কোন স্বীকৃতিতে নেই।
কেন? তোমরা কী তবে আমায় অপছন্দ কর!
নাকি আমার কাজে সন্তুষ্ট নও!’—
কী বলি এর উত্তরে!
সূর্য্য আলো দেয়, প্রাণে দেয় উত্তাপ,
জীবনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন
সবই সে দেয়,
তার জন্মই তো অকৃপণ সেবার জন্য।
কিন্তু ওই যে তার তাপ, তার উদার দানের বিশালতা
সে তো আমরা সইতে পারি না।
কী করে বলি তারে— আমরা মানুষ
তাকেই তো ভুলি, তাকেই এড়িয়ে যাই
যে থাকে পাশে, যার কাছে থাকি আপাদমস্তক ঋণী।
তোমার তেজ সওয়া সাধ্যি কার!
অথচ চাঁদের কাছে তেমন একটা ঋণ নেই
তাই চাঁদ নিয়ে আদিখ্যেতা,
চাঁদ তার নরম নরম রূপ নিয়ে
আমাদের দুয়ারে উঁকি দেয়,
তেজের উগ্রতা নেই বলে নিজেকে কখনও
ক্ষুদ্র ভাবি না।
ভালবাসি তো তাকেই
যার কাছে ঋণ থাকে না
থাকে না তেজ, থাকে না তাপ।
সূর্য্যকে এসব বলতে পারি না,
শুধু মুচকি হেসে জানালার কপাটে দিই খিল,
যেন তার উত্তাপ আমায় ঝলসে না দেয়।
রুবি বিনতে মনোয়ার
২৮/০২/২০২২ইং